অর্থশাস্ত্রে রাজার ভূমিকা
ষোড়শ মহাজনপদ গঠন হওয়ার পরবর্তীকালে অনেক ছোটোবড়ো রাজ্য গড়ে ওঠে যার মধ্যে কাশী, কোশল, অঙ্গ ও মগধ ছিল অন্যতম। এদের মধ্যে মগধ অন্যদের পরাজিত করে কেন্দ্রীয় রাজ্যও শক্তিশালী হয়ে ওঠে যা পরবর্তী পর্যায়ে একটি সাম্রাজ্যে পরিণত হয়। চন্দ্রগুপ্তের নেতৃত্বে গঠিত মৌর্য সাম্রাজ্য প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
সাম্রাজ্যের কার্যকলাপ এবং তার পরিচালনার বিশদ বিবরণের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সূত্র হল চন্দ্রগুপ্তের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মুখ্য পরামর্শদাতা কৌটিল্যের (অথবা চাণক্য /বিষ্ণুগুপ্ত) রচিত অর্থশাস্ত্র। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে, এই আকর গ্রন্থটির সঠিক রচয়িতা সম্বন্ধে যথেষ্ট বিতর্কের অবকাশ আছে। কারণ, মূলত এর 15টি সংস্করণ আজ অবধি পাওয়া গেছে।
অর্থশাস্ত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য সম্বন্ধে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। এটি মুখ্যত মৌর্য রাষ্ট্রের রাজনীতি ও অর্থনীতির সফল পরিচায়ক। চাণক্য রাজার প্রশাসনিক ভূমিকাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন ।
অর্থশাস্ত্রে রাজার ভূমিকা সম্বন্ধে বলা হয়েছে “When in the court he shall never cause petitioners to wait at the door” অর্থাৎ, রাজসভা চলাকালীন তিনি (রাজা) বিচারপ্রার্থীদের অহেতুক অপেক্ষায় রাখবেন না। রাজা তাদের প্রতি যথাযথ ন্যায়বিচার করবেন। গ্রিক উপাদানে মৌর্য শাসনের কর্তব্যনিষ্ঠার ভূয়সী প্রশংসা আছে।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .