বাস্তুতান্ত্রিক প্রজাতি পরিবর্তনের কারণ
কোনো একটি বাস্তুতান্ত্রিক কম্যুনিটিতে উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির পরিবর্তন এবং ক্রমান্বয়ে একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির স্থিতিকরণে কোনো নির্দিষ্ট কম্যুনিটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ঘটনাকে বলা হয় বাস্তুতান্ত্রিক প্রজাতি পরিবর্তন বা ইকোলজিক্যাল সাকশেসন। সাধারণত কোনো একটি জদীব কম্যুনিটিতে কোনো একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির প্রাধান্য থাকে। আবার নির্দিষ্ট সময় অন্তর নানান ভৌত বা জৈবিক বা আবহাওয়া পরিবর্তিত হলে তার প্রজাতিগত পরিবর্তন ঘটে ক্রমান্বয়ে অন্য কোনো প্রজাতির স্থিতিকরণ ঘটে এবং কোনা নির্দিষ্ট কম্যুনিটি গড়ে ওঠে। এই ঘটনাকেই বলা হয় ইকোলজিক্যাল সাকশেশন। এক্ষেত্রে কোনো পপুলেশনের সমস্ত কম্যুনিটির গঠন সময়ের সাথে সাথে পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তিত হতে থাকে। একে সিরি (Sere) বলে।
ইকোলজিক্যাল সাকসেশনের কারণ
প্রত্যেক জীবপ্রজাতিরই বেচে থাকার ও বংশবিস্তারের জন্য একটি নির্দিষ্ট আবহাওয়া দরকার। যেখানে ঐ নির্দিষ্ট আবহাওয়া বিদ্যমান যেখানে উক্ত জীবদের বংশবৃদ্ধির হার অত্যন্ত বেশি হয় এবং প্রজাতি হিসাবে তাদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু কালক্রমে ওই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে সেখানে নতুন আবহাওয়া বিরাজ করলে সেই আবহাওয়ায় বাঁচার উপযুক্ত প্রজাতির প্রাধান্য স্থাপিত হয় এবং পুরোনো প্রজাতির প্রাধান্য ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে।
অবশেষে বাস্তুতান্ত্রিক শর্তাবলী একটি নির্দিষ্ট অবস্থায় পৌঁছলে সেখানে নির্দিষ্ট কিছু প্রজাতির প্রাধান্য স্থাপিত হয়ে একটি কম্যুনিটির সৃষ্টি হয়। বাস্তুতন্ত্রের প্রথম যে প্রজাতি প্রতিষ্ঠিত হয় তাদের বলা হয় পাইওনিয়ার কম্যুনিটি এবং সাকশেসনের অন্তিম পর্যায়ে যে প্রজাতি প্রতিষ্ঠিত হয় তাদের বলা হয় ক্লাইমেক্স কম্যুনিটি। কোনো নতুন বাস্তুতন্ত্রে প্রত্যেক প্রজাতি যে সকল ধারে পরিবর্তিত হয়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .