প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রই হল বিশুদ্ধ গণতন্ত্র। প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রে জনগণই সরাসরি দেশের শাসনকার্য পরিচালনা করে। সরকারি যাবতীয় কাজ জনগণ নিজেরাই সম্পাদন করে। প্রাচীনকালে গ্রিস দেশের নগর-রাষ্ট্রগুলিতে এধরণের শাসনব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। নাগরিকগণ নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্ধারিত জায়গায় মিলিত হত এবং আইনপ্রণয়ন, সরকারি কর্মচারি নিয়োগ, রাজস্ব ও ব্যয় নির্ধারণ, পররাষ্ট্র ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রভৃতি সম্পাদন করত। এমনকি বিচারবিভাগীয় কাজকর্মও তারা সম্পাদন করত।
প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের সুবিধা
প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের সুবিধাগুলি হলো –
(১) গণতন্ত্র বলতে জনগণের শাসনকে বোঝায়। এদিক থেকে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রই হল প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা।
২) জনগণ প্রত্যক্ষভাবে শাসনকার্য পরিচালনা করে। তার ফলে জনসাধারণের রাজনৈতিক চেতনা বৃদ্ধি পায় এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়।
৩) জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণের জন্য এ ধরনের শাসনব্যবস্থায় সরকারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
৪) প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক শাসন হল সহজ ও সরল প্রকৃতির। আইন, শাসন ও বিচারবিভাগীয় কাজকর্মের মধ্যে তেমন সুস্পষ্ট পার্থক্য থাকে না।
৫) এ ধরনের শাসনব্যবস্থায় শ্রেণিবিরোধের সম্ভাবনা বড়ো একটা থাকে না।
৬) স্বল্প জনসংখ্যা ও ক্ষুদ্রায়তনবিশিষ্ট রাষ্ট্রের পক্ষে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র হল আদর্শ শাসনব্যবস্থা।
৭) প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রে জনগণের অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে সমন্বয় সাধিত হয়।
৮) প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র ব্যয়বাহুল্যের ত্রুটি থেকে মুক্ত।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .