Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

Add question

সাম্যের বিভিন্ন রূপগুলি ব্যাখ্যা করো।

সাম্যের বিভিন্ন রূপ

সাম্য বলতে বোঝায় সকলের ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশসাধনের জন্য উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধার সমন। সাধারণত ছয়ধরনের সাম্যের কথা বলা হয় : (১) পৌর সাম্য (২) সামাজিক সাম্য (৩) রাজনীতিক সাম্য (৪) আর্থনীতিক সাম্য (৫) আইনগত সাম্য (৬) স্বাভাবিক সাম্য ।

১) পৌরসাম্য

সকলের সমানভাবে পৌর অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করাকে পৌর সাম্য বলে। জাতি,ধর্ম, বর্ণ, প্রতিপত্তি প্রভৃতি নির্বিশেষ প্রত্যেক নাগরিক সকল সামাজিক অধিকার সমানভাবে ভোগ করার সুযোগ পেলেই পৌর সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

২) সামাজিক সাম্য

সামাজিক জীবনে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, অর্থ প্রভৃতি নিরপেক্ষ ভাবে সকলকে সমানভাবে সামাজিক ক্ষমতা প্রদান করাকে সামাজিক সাম্য বলে। অর্থাৎ ওই সমস্ত কারণে সমাজে নাগরিকদের মধ্যে পার্থক্যমূলক আচরণ করা হবে না।

৩) রাজনীতিক সাম্য

রাজনীতিক অধিকার ভোগের সমতাকে রাজনীতিক সাম্য বলে। রাজনীতিক অধিকার হল ভোটাধিকার, নির্বাচিত হওয়ার অধিকার, সরকারি কাজকর্মে অংশগ্রহণের অধিকার প্রভৃতি। সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতিষ্ঠাকে রাজনীতিক সাম্যের পরিচায়ক হিসাবে গণ্য করা হয়। রাজনীতিক ক্ষমতা লাভ এবং রাজনীতিক বিষয়ে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ-সুবিধার অস্তিত্বই হল রাজনীতিক সাম্য।

৪) আর্থনীতিক সাম্য

আয় ও ধনবৈষম্যের অনস্তিত্বই সাম্যের মূল কথা। আর্থনীতিক সাম্য না থাকলে অন্যান্য সাম্য ও নাগরিক অধিকার অর্থহীন হয়ে পড়ে। ল্যাস্কির মতানুসারে, আর্থনীতিক সাম্য হল একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। আর্থনীতিক ক্ষেত্রে সাম্য না থাকলে রাজনীতিক এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সাম্য থাকতে পারে না। বার্কারের মতানুসারে, আর্থনীতিক সাম্য আইনগত সাম্যের আপেক্ষিক। এ হল এক সর্বোচ্চ মূল্যবোধের আপেক্ষিক। এই মূল্যবোধ ব্যক্তি-মানুষের সম্ভাবনাসমূহের বিকাশের মধ্যেই বর্তমান।

৫) আইনগত সাম্য

আইনের চোখে সকলেই সমান এবং সকলের প্রতি আইন সমভাবে প্রযোজ্য, এ হল আইনগত সাম্যের মূল কথা। সকল নাগরিক আইনগত সমান সুযোগ-সুবিধা ও অভিন্ন অধিকার ভোগ করতে পারবে। পৌর, সামাজিক, রাজনীতিক ও আর্থনীতিক সাম্য বিধিবদ্ধ রূপ লাভ করে আইনগত সাম্য হিসাবে পরিগণিত হয়। আইনগত সামর্থ্যের ক্ষেত্রে সাম্যকে আইনগত সাম্য বলা হয়। সকলের অভিন্ন আইনগত মর্যাদাকে আইনগত সাম্য হিসাবে গণ্য করা হয়। আইনগত সাম্যের ধারণা হল আইনসংগত সমমর্যাদা ও সুযোগের ধারণা।

৬) স্বাভাবিক সাম্য

জন্মগতভাবে সকল মানুষ সমান। তাই সমানাধিকার সহজাত। এই হল স্বাভাবিক সাম্যের মূলকথা। রুশোর লেখায় এবং আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণার স্বাভাবিক সাম্যের আদর্শ মূর্ত হয়ে উঠেছে। কিন্তু স্বাভাবিক সাম্যের ধারণাকে বর্তমানে বড়ো একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কারণ শক্তি-সামর্থ্য, বুদ্ধিবৃত্তি, গুণগত যোগ্যতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে মানুষে মানুষে জন্মগত পার্থক্য রয়েছে।

Leave a reply