উপনিবেশগুলি নিছক কাঁচামালের আড়ত বা মেট্রোপলিটনের বৃহৎ বাজার ছিল না। এগুলি ছিল “সাদা মানুষের বোঝা” (White Man’s Burden) ও ইউরোপীয় সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বৈজ্ঞানিক ধ্যানধারণার পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর গবেষণাগার (Laboratory) বিশেষ।
“সাদা মানুষের বোঝা” (White Man’s Burden) এই মতানুসারে ঔপনিবেশিক শাসকেরা তাঁদের স্ব-স্ব উপনিবেশগুলিকে আরও গভীরভাবে জানার এবং বোঝার উদ্দেশ্যে নানাবিধ তথ্য সংগ্রহ করে এক পর্যাপ্ত তথ্যভাণ্ডার (Database) নির্মাণের ওপর গুরুত্ব দেন। এ ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারি, সামরিক বাহিনীর সদস্য, পর্যটক, বিশ্ববিদ্যালয় ও সমগোত্রীয় প্রতিষ্ঠানের সদস্যবৃন্দ প্রভূত সাহায্য করেন।
তাঁরা এই অফুরন্ত জ্ঞানভাণ্ডার নির্মাণের দ্বারা ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে নিজস্ব ভূমিকা পালন করেন। নলেজ (Knowledge) অর্থাৎ জ্ঞান এই পরিপ্রেক্ষিতে পাওয়ার (Power) অর্থাৎ ক্ষমতার উৎস হয়ে ওঠে। ঔপনিবেশিক পরিবেশে এই “Power Discourse”-এর মাধ্যমে শাসক ও শাসিতের সম্পর্ক নির্ধারিত হয়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .