রিকটার স্কেল (Richter Scale)
ভূমিকম্প তরঙ্গের গতিবিধি এবং ভূমিকম্পের উৎস নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত সিমোগ্রাফ যন্ত্রের
ওপর বসানো ভূমিকম্পের তীব্রতা নির্ণয়কারী একটি স্কেল বা পরিমাপ ব্যবস্থাকে রিকটার স্কেল বলে। ১৯৩৫ সালে সি. এফ. রিক্টার নামে জনৈক মার্কিন বিজ্ঞানী এই স্কেলটি আবিষ্কার করেন। আবিষ্কারক বিজ্ঞানীর নামানুসারে এই স্কেলটিকে রিকটার স্কেল বলা হয়।
ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপ করার জন্য রিক্টার স্কেল ১০ ভাগে ভাগ করা থাকে। সাধারণত রিকটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৫ মাত্রা অতিক্রম করলেই জীবন ও সম্পত্তি হানির আশঙ্কা থাকে। প্রবলতম ভূমিকম্পকে রিক্টার স্কেল অনুসারে ১০ মাত্রা ধরা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, রিকটার স্কেল অনুসারে (১) সুমাত্রা অঞ্চলে ২০০৪ সালের সামুদ্রিক ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮.৯। সমুদ্রতলের এই ভূমিকম্পের সৃষ্টি হওয়ার ফলে সুনামিতে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রায় ৩ লাখ লোকের জীবনহানি এবং বহু সম্পত্তিহানি হয়, (২) ২০০১ সালে সংঘটিত গুজরাটের ভুজ অঞ্চলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৯। (৩) ২০১৫ সালের নেপাল ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮ বা ৮.১।
সুতরাং সংক্ষেপে বলা যায় যে, রিকটার স্কেল হল ভূমিকম্প-মাপক যন্ত্র বা সিমোগ্রাফের ওপর বসানো ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপের একক বিশেষ।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .