রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরিধি
ব্যাপক আলোচনা ক্ষেত্রঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞন হল একটি গতিশী পামাজিক বিজ্ঞান। এর আলোচনা ক্ষেত্রের সীমানা নির্ধারণ মোটেই সহজসাধ্য নয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়বস্তু পরিবর্তনশীল। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনা ক্ষেত্রের সীমানা অতিমাত্রায় ব্যাপক। আলোচ্য শাস্ত্রের বিষয় বস্তুর ব্যপ্তির জন্য আলোচনা ক্ষেত্রের পরিধি বিশেষভাবে ব্যাপক। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মুখ্য বিষয়বস্তু হল মানুষের রাজনৈতিক জীবনের সর্বাঙ্গীন আলোচনা। এখন রাষ্ট্র ও অন্য যে কোন বিষয় যা মানুষের রাজনৈতিক জীবনকে স্পর্শ করে তা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনার অন্তর্ভূক্ত।
আইনের আলোচনা
যেমন রাষ্ট্র এবং সরকার তেমনি সরকার প্রণীত আইন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনার অন্তর্ভূক্ত। রাষ্ট্রের পক্ষ অবলম্বন করে সরকারই আইন প্রণয়ন করে ও শাসন কার্য পরিচালনা করে এবং শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করে। সুতরাং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অন্যতম আরেকটি বিষয় হল আইনের আলোচনা।
সরকারের আলোচনা
রাষ্ট্র মূর্ত হয়ে ওঠে সরকারের মাধ্যমে। সরকার ব্যতীত রাষ্ট্রের কল্পনাই করা যায় না। কারণ রাষ্ট্র তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সরকারের মাধ্যমে রূপায়িত করে। সুতরাং রাষ্ট্রের আলোচনার সঙ্গে সরকারের আলোচনাও স্বাভাবিকভাবেই এসে পড়ে। অনেকের সন্দেহ প্রকাশ করেন সরকারের আলোচনা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়বস্তুর অন্তর্ভূক্ত হবে কি না, আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের অধিকাংশ সরকারের আলোচনাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত করতে চান। কিন্তু অধ্যাপক গার্ণার, ব্লন্টসলি প্রমুখেরা সরকারকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অন্তর্ভূক্ত করতে চাননি। বস্তুত রাষ্ট্রবিজ্ঞানে রাষ্ট্র ও উভয়কে নিয়েই আলোচনা করা হয়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মুখ্য বিষয়
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় বিষয় হোল, মানুষের রাজনৈতিক জীবনের আলোচনা সমাজবদ্ধ জীবনের চরম অভিব্যক্তি হল রাষ্ট্র। মানুষের রাজনৈতিক জীবন আবর্তিত হয় রাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে। এর ফলেই সমাজবাদীদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে ও শান্তিপূর্ণ সমাজ জীবন সম্ভব হয়। রাষ্ট্রই হল রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় বিষয়। রাষ্ট্র ও ব্যক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনা করে।
আন্তর্জাতিক বিষয়
বর্তমানের যুগ আন্তর্জাতিকতাবাদের যুগ। সুতরাং রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপ আন্তর্জাতিক রীতিনীত নিরপেক্ষ হতে পারে না। তাই রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনায় স্বাভাবিকভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এসে পড়ে।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .