ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে ভারতে প্রবর্তিত ভূমিরাজস্বব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম ছিল রায়তােয়ারি বন্দোবস্ত। ১৮২০ খ্রিঃ স্যার টমাস মনরাের নেতৃত্বে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি ব্যতীত দক্ষিণ ভারতে অন্যান্য স্থানে যে ভূমি রাজস্ব বন্দোবস্ত প্রবর্তিত হয় তা রায়তােয়ারি বন্দোবস্ত নামে পরিচিত।
রায়তওয়ারি বন্দোবস্তের পটভূমি
দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের বেশ কিছু অসুবিধে থাকায় এই ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। প্রথমত, দক্ষিণ ভারতের জমিদার শ্রেণির অস্তিত্ব খুব একটা ব্যাপক ছিল না। দ্বিতীয়ত, বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জমিদারের অস্তিত্ব থাকলেও তারা সরাসরি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।
রায়তওয়ারি বন্দোবস্তের বৈশিষ্ট্য
রায়তােয়ারি বন্দোবস্ত ছিল উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দুটি দশকের ভূমিরাজস্ব সক্লান্ত বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা ও পরিবর্তনের ফলশ্রুতি। এই বন্দোবস্তের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য
প্রথমতঃ
নির্দিষ্ট পরিমান রাজস্বের ভিত্তিতে ইংরেজ কোম্পানীর সরকারের সাথে প্রতিটি কৃষকের সরাসরি চুক্তি।
দ্বিতীয়তঃ
কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যয় বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ফসলের অর্ধেক বা ৫০% ভূমি রাজস্ব রূপে নির্ধারিত হত।
তৃতীয়তঃ
২০-৩০ বছর অন্তর আলােচনার মাধ্যমে ভূমিরাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হত।
চতুর্থতঃ
বেশ কিছু ক্ষেত্রে উৎপাদনের পরিমাণ, উৎপাদিত পণ্যের বাজার দর প্রভৃতি হিসাবের ভিত্তিতে প্রতিবছর রাজস্ব নির্ধারণ করে রায়তকে পাট্টা দেবারব্যবস্থা ছিল।
পঞ্চমতঃ
কৃষকদের জমি ভােগ করার স্বত্ব থাকলেও জমির মালিকানা স্বত্ব ছিল না।
পরিশেষে বলা যায় রায়তােয়ারি বন্দোবস্ত রায়তদের কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে। এই ব্যবস্থায় সরকারি আমলারা রায়তদের অস্থায়ী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে জমি থেকে উচ্ছেদতে পারত।তাইরমেশচন্দ্র দত্ত বলেছেন, “রায়তােয়ার ব্যবস্থায় জমির অস্থায়ী নিয়মকানুনের জন্য কৃষক প্রজারা দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়।”
Comments ( 2 )
জায়গিরদারি ব্যবস্থা সমবনধে আলোচনা কর,,, এই প্রশ্ন এর উত্তর টা খুব দরকার
Thanks for visiting Studymamu. Unfortunately that website is under construction. We will help you soon 🙂
জায়গারদার ব্যবস্থা সমবনধে আলোচনা করো
Thanks for visiting Studymamu. Unfortunately that website is under construction. We will help you soon 🙂