যৌন হেনস্থা বা যৌন হয়রানি বা যৌন নিপীড়ন
কোনো ব্যক্তি কারো দেহকে যখন তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অথবা প্রলোভনের দ্বারা নিজের যৌন বাসনা মেটানোর জন্য ব্যবহার করে তখন সেটাকে বলা হয় যৌন হেনস্থা বা যৌন নিপীড়ন। নারী পুরুষ যে কেউ যে কোনো সময় যৌন নিপীড়নের স্বীকার হতে পারে তবে শিশু, কম বয়সি ছেলে বা মেয়ে এই অবস্থার মুখোমুখি বেশি হয়।
সাধারণত যৌন নিপীড়নকারীরা শিশু বা কম বয়সি ছেলে মেয়েদের ভয়, প্রলোভন, হুমকি দিয়ে এই ঘটনা না জানাতে নির্দেশ করে। অনেক সময় যৌন নিপীড়নের স্বীকার হয়ে অনেক ছেলে মেয়ে মানসিক ভাবে কষ্ট পায়, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে এবং স্বাভাবিক হতে পারে না।
এক্ষেত্রে 1979 সালে নারীদের প্রতি বৈষম্য মুলক আচরণ রোধের জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনসন ভারত ও অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ 1997 সালে ভারতের সুপ্রিমকোর্টে বিশাখা ও অন্যান্য বনাম রাজ্যস্থান রাজ্য মামলায় এই যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল।
যৌন হেনস্থা বিভিন্ন রকম ভাবে হতে পারে। যেমন—
- গায়ে হাত দেওয়া বা হাত দেওয়ার চেষ্টা করা।
- যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ইচ্ছে প্রকাশ করা। (দাবি, অনুরোধ
- যৌন রসাত্মক মন্তব্য বা রসিকতা করা।
- অশ্লীল ছবি বা বই প্রকাশ করা।
- অন্য যে কোনো অবাঞ্ছিত আচরণ দৈহিক, মৌখিক বা ইঙ্গিতসূচক।
এই অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। যেমন—
- কখন কোনো অচেনা (নারী বা পুরুষ) লোকের সাথে একা চলা ফেরা না করা।
- কাউকে ভালো লাগলেই চট করে তার সাথে ভাব না করা।
- আগে থেকে কেউ সাহায্যে বা উপকার করতে এলে একটু সতর্ক থাকে।
- সমবয়সি কিংবা কিছু বড় ধরনের বিপরীত লিঙ্গের নিকট আত্মীয়তার ব্যাপারে বিশেষ ভাবে সাবধান থাকা।
উপরিউক্ত বিষয়কে সামনে রেখে যৌন হেনস্থার প্রতিবাদ ভারত সরকার যে সমস্ত আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলি হল—
- পতিতা বৃত্তি নিরোধ আইন 1956 (1978 ও 1986 সালে সংশোধিত)
- পণ নিবারণী আইন, 1961 (1984 ও 1986-সালে সংশোধিত)
- ফৌজদারী কার্যবিধি আইন 1973।
- ভারতীয় দণ্ডবিধি 498 (A) ধারা।
- ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি সম্পর্কিত আইন।
- নারীদেহ প্রদর্শন নিরোধী আইন 19861
- সতী-প্রথা নিরোধ আইন 1987।
- কর্ম ক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা নিরোধের নির্দেশাবলী 1997।
Read More
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .