মুদ্রাস্ফীতি
সাধারণভাবে মুদ্রাস্ফীতি বলতে মূল্যস্তরের ক্রমাগত বৃদ্ধিকেই বােঝায়। যখন দেশের মূল্যস্তর নিরবচ্ছিন্ন গতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকে তখনই তাকে মুদ্রাস্ফীতি বলা হয়। মুদ্রাস্ফীতি বলতে এমন এক পরিস্থিতিকে বােঝায় যখন দ্রব্যসামগ্রী বৃদ্ধির তুলনায় অর্থ এবং ব্যাঙ্ক ঋণ অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ায় মূল্যস্তর ক্রমাগত এবং যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
রাজস্বনীতির মাধ্যমে যে সকল উপায়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব তার মধ্যে অন্যতম দু’টি হলাে –
1. সরকার দেশের জনসাধারণের কাছ থেকে বন্ড বা ঋণপত্র বিক্রি করে ঋণ গ্রহণ করে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে দেশের জনসাধারণের হাতে অর্থের পরিমাণ কমে। এর ফলে দেশের মােট ব্যয়ের পরিমাণও কমে।
2. সরকারি ব্যয়ের পরিমাণ কমানাের সাথে সাথে বেসরকারি ব্যয়ের পরিমাণ কমিয়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বেসরকারি বিনিয়ােগের পরিমাণ কমানাের জন্য নতুন নতুন কর আরােপ করে বা বর্তমান করের হার বাড়িয়ে সরকার জনসাধারণের ব্যয়যােগ্য আয়ের পরিমাণ কমিয়ে বেসরকারি ব্যয়ের পরিমাণ কম করতে পারে।
Read More
- ঘাটতি বাজেট কাকে বলে?
- ঘাটতি ব্যয়ের অসুবিধা লেখাে।
- সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি কাকে বলে?
- বাণিজ্যচক্র কাকে বলে?
- ভারসাম্য বাজেট গুণক বলতে কী বােঝায়?
- প্রান্তিক আয় কাকে বলে?
- গড় রেভিনিউ কাকে বলে?
- কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গুণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আলােচনা করাে।
- কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পরিমাণগত ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করাে।
- বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের মূল কাজগুলি আলােচনা করাে।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .