মুখ্য জোয়ার
পৃথিবীর আবর্তন গতি এবং পৃথিবীকে চন্দ্রের পরিক্রমণের ফলে পৃথিবী ও চন্দ্রের অবস্থান বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হয়। এর ফলে জোয়ার ভাটারও তারতম্য হয়। আবর্তনের ফলে পৃথিবী পৃষ্ঠের যে স্থান ঠিক চন্দ্রের সম্মুখে উপস্থিত হয় চন্দ্রের আকর্ষণের জন্য তখন সেখানে প্রবল টান অনুভূত হয়। তার ফলে সেখানের জলরাশি চন্দ্রের আকর্ষণে স্ফীত হয়ে ওঠে এবং পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের জলভাগ থেকেও কিছু জল ঐ স্থানে চলে আসে। ফলে পৃথিবী পৃষ্ঠের ঐ অংশে জোয়ারের সৃষ্টি হয়। এভাবে চন্দ্রের আকর্ষণে যেখানে যে জোয়ার হয় তাকে চান্দ্র জোয়ার বা মুখ্য জোয়ার বলে।
পূর্ণিমা তিথিতে চন্দ্রের আকর্ষণ স্থলের বিপরীত দিকে সূর্যের আকর্ষণেও এইরকম মুখ্য জোয়ার হয়।
গৌণ জোয়ার
চন্দ্রের আকর্ষণ স্থানের প্রতিপাদ স্থানে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব কম হয় বলে বিপরীত দিকে অবস্থিত জলরাশি প্রধানত প্রবল বিকর্ষণ শক্তির প্রভাবে স্ফীত হয়ে। যে জোয়ার সৃষ্টি করে তাকে গৌণ চান্দ্র জোয়ার বা গৌণ জোয়ার বলে। এছাড়া পৃথিবীর যে অংশে মুখ্য জোয়ার হয় ঠিক তার বিপরীত দিকের স্থলভাগ জলভাগের চেয়ে চন্দ্রের বেশি কাছে থাকে। চাঁদ থেকে ঐ স্থানের জলভাগের দূরত্ব বেশি হওয়ায় জলের ওপর চাঁদের আকর্ষণ কমে যায়। ফলে সেখানকার জলও ফুলে উঠে গৌণ জোয়ারের সৃষ্টি করে।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .