মােট উৎপাদন, গড় উৎপাদন ও প্রান্তিক উৎপাদন
শ্রমের মতাে পরিবর্তনশীল উপাদানের পরিপ্রেক্ষিতে গড় ও প্রান্তিক উৎপাদনকে বােঝানাে যায়। স্বল্পকালে উৎপাদনের অন্যান্য উপকরণগুলির সাথে নির্দিষ্ট পরিমাণ শ্রম ব্যবহার করে যে পরিমাণ উৎপাদন করা যায় তাকে মােট উৎপাদন বলে। অর্থাৎ প্রত্যেক শ্রমিকের উৎপাদনের সমষ্টিই হলাে মােট উৎপাদন। আর গড় উৎপাদন হলাে একক প্রতি শ্রমের উৎপাদন। অন্যদিকে, প্রান্তিক উৎপাদন বলতে বােঝায় এক একক অতিরিক্ত শ্রম নিয়ােগ করে মােট উৎপাদন যতটা বাড়ানাে সম্ভব তা-ই।
স্বল্পকালে উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিবর্তনীয় অনুপাতের নিয়ম কাজ করলে শ্রমের পরিমাণ বাড়ালে এই নিয়ম তিনটি স্তরে কার্যকরী হয়। যথা- 1. উপাদানজনিত সমহার প্রতিদানের নিয়ম 2. উপাদানজনিত ক্রমবর্ধমান প্রতিদানের নিয়ম ও 3. উপাদানজনিত ক্রমহ্রাসমান প্রতিদানের নিয়ম।
একটি বা দুটি বিন্দুতে দ্বিতীয় স্তরটি স্বল্পকাল স্থায়ী হয়। প্রতিদানের তিনটি স্তরে যে গড় ও প্রান্তিক উৎপাদন রেখা পাওয়া যায় তা প্রথমে ঊর্ধ্বমুখী ও পরে নিম্নমুখী হয়। বৃদ্ধির হার এবং হ্রাসের হারের তীব্রতা গড় থেকে প্রান্তিক এককের উপর বেশি অনুভূত হয়। ফলে প্রান্তিক উৎপাদন রেখা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পায়, তেমনি দ্রুত হারে হ্রাস পায়।
রেখাচিত্রে দেখা যাচ্ছে M বিন্দুতে প্রান্তিক উৎপাদন রেখা উপর থেকে গড় উৎপাদন রেখাকে সর্বোচ্চ বিন্দুতে ছেদ করে। M বিন্দুর আগে পর্যন্ত গড় উৎপাদন রেখা MPL > APL। আবার গড় উৎপাদনের আগেই P বিন্দুতে প্রান্তিক উৎপাদন সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছে গেছে।
Comment ( 1 )