ভূমিধ্বসের ফলে নদী, পার্বত্যপথ প্রভৃতির গতিপথ পরিবর্তিত হয়। এর ফলে বনভূমি বিনষ্ট হয়ে যায়, যাতায়াত ব্যবস্থা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যায়। ১৯৯৯ সালে উত্তর প্রদেশের রুদ্রপয়াগ, দেরাদুন প্রভৃতি এলাকায় প্রচুর মাত্রায় জীবনহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং প্রায় ৪,৮০০ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়ে যায়। তাই ভূমিধ্বসের যথাযথ ম্যানেজমেন্ট হওয়া একান্ত আবশ্যক।
ভূমিধ্বসের ম্যানেজমেন্টের পদ্ধতিগুলি হল
(i) উপগ্রহের দ্বারা রিমোর্ট সেন্সিং-এর মাধ্যমে পাহাড়ের বিভিন্ন ঢালের অবস্থা ও তার ক্রমিক পরিবর্তনের তথ্যাবলি প্রতিনিয়ত জোগাড় করতে হবে এবং কোথাও কোনো ঢালনাশের ঘটনা ঘটলে সেই মুহূর্তে সেখানকার মানুষদের ভূমিধ্বসের পূর্বভাস প্রদান করতে হবে।
(ii) ধ্বস প্রবণ এলাকায় যাতে জল জমতে না পারে তার ব্যবস্থা করা দরকার।
(iii) পার্বত্য এলাকায় বাড়িঘর নির্মাণের জন্য সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
(iv) ধ্বস প্রবণ এলাকায় বাড়িঘর নির্মাণের জন্য সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
(v) পাহাড়ী এলাকায় উপযুক্ত তথ্য ও সংবাদ আদান-প্রদানের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
(vi) পাহাড়ী এলাকায় ডিনামাইটের প্রয়োগ পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।
(vii) ভূমিধ্বসের মোকাবিলা করার জন্য ধ্বস প্রবণ এলাকার মানুষদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
(viii) ধ্বস প্রবণ এলাকায় সরকারি দপ্তরে আগাম ত্রাণকার্যের সামগ্রী এনে রাখতে হবে।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .