বৌদ্ধ যুগে নারীশিক্ষা
বৌদ্ধ যুগের প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষাতে নারীদের অধিকার ছিল না। ত্যাগ এবং সন্ন্যাস ছিল বৌদ্ধ শিক্ষার মূল নীতি। যার ফলে মেয়েরা ছেলেদের সমান সম্মান পেত না, এবং পূর্ববর্তী যুগে নারী শিক্ষার যে অবনতি দেখা দিয়েছিল তা অব্যাহত ছিল। পরবর্তী সময়ে আনন্দ এবং মহাপ্রজাপতির অনুরোধে বুদ্ধ নারীদের শিক্ষা অর্জনের অনুমতি দেন। তাদের জন্য অবশ্য পৃথক বিহার, বিশেষ নিয়মকানুন এবং অনেক সীমাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতা আরোপ করা ছিল। মেয়েদের একক ভাবে শিক্ষকের নিকট থেকে পাঠ গ্রহণের অনুমতি ছিল না। তাদের ভিক্ষুণী হতে গেলে অনেক কঠোর নিয়মানুবর্তিতার ভিতর দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হত। বৌদ্ধ শিক্ষায় শিক্ষিতা নারীদের মধ্যে বৈশালীর আম্রপালী, বারাণসীর সুপ্রিয়া, উপালা প্রভৃতিদের নাম আমরা দেখতে পাই। সমসামায়িক কালে বেশ কিছু বিখ্যাত বৌদ্ধ নারী শিক্ষিকা ছিলেন যেমন মহাপ্রজাপতি, সুজাতা, সোমা, অনুপমা, ক্ষেমা, কিশা ইত্যাদি। তাঁদের রচিত সাহিত্যের নাম ছিল “থেরীগাথা”।
বৌদ্ধযুগে সামাজিক শ্রেণি নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের মধ্যে শিক্ষার কিছুটা প্রসার ঘটলেও নারীশিক্ষা সীমাবদ্ধ ছিল অঞ্চল বিশেষের মুষ্টিমেয় কিছু শ্রমণা, প্রব্রাজিকার মধ্যে। নারীশিক্ষা এই যুগেও ব্যাপক ভাবে বিস্তার লাভ করেনি।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .