প্রাকৃতিক গ্যাস
খনিজ তেলের খনিতে তেলের সঙ্গে দাহ্য গ্যাস সঞ্জিত থাকে এবং এই গ্যাস আলাদাভাবে বা তেলের সঙ্গে খনি থেকে উত্তোলিত হয়। কয়লা বা খনিজ তেলের মতো প্রাকৃতিক গ্যাসের গুরুত্ব আধুনিক শিল্পে অতটা না হলেও আধুনিক জীবনযাত্রায় এটি যে একটি অপরিহার্য দ্রব্য সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। মিথেন, ইথেন, বুটেন, প্রপেন প্রভৃতি উদ্বায়ী হাইড্রোকার্বন বা গ্যাসের মিশ্রণে যে গ্যাস পাওয়া যায় তাকে বলে প্রাকৃতিক গ্যাস। খনিজ তেলের খনিতে সবচেয়ে নিচের স্তরে থাকে জল, তার উপরের স্তরে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায় খনিজ তেল এবং তার উপরে কিছু পরিমাণে প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায়।
আবার এমনও দেখা গেছে যে, খনিজ তেলের অস্তিত্ব নেই অথচ ভূ-গর্ভ থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস নির্গত হচ্ছে। খনিজ তেলের মতো প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিমাণও সীমিত এবং নিয়মিত উত্তোলন ওব্যবহারের ফলে এই পরিমাণও ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার
প্রাকৃতিক গ্যাস বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়, যেমন—
(i) শীতপ্রধান দেশে ঘর গরম রাখার জন্য ও পথঘাটে আলোর ব্যবস্থা করার জন্য প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার হয়।
(ii) বিভিন্ন শিল্পে, যথা—সিমেন্ট শিল্প, মৃৎশিল্প, লৌহ-ইস্পাত শিল্প প্রভৃতিতে শক্তি হিসাবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
(iii) প্রাকৃতিক গ্যাস পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পে কাঁচামালরূপে ব্যবহৃত হয়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .