প্রতিপাদ স্থান
ভূ-পৃষ্ঠস্থ কোনো বিন্দু থেকে পৃথিবীর কোনো কল্পিত ব্যাস ভূ-কেন্দ্র ভেদ করে অপরদিকে ভূ-পৃষ্ঠকে যে বিন্দুতে স্পর্শ করে, সেই বিন্দুকে প্রথম বিন্দুটির প্রতিপাদ স্থান বলে।
প্রতিপাদ স্থান দুটির অক্ষাংশের মান সমান, কিন্তু একটি অপরটির বিপরীত গোলার্ধে অবস্থিত। কলকাতা অক্ষাংশ ২২\tfrac{১}{২}^{\circ} উঃ, সুতরাং এর প্রতিপাদস্থানের অক্ষাংশ ২২\tfrac{১}{২}^{\circ} দঃ হবে। ছবিতে গ উত্তর গোলার্ধে ভূ-পৃষ্ঠস্থ একটি বিন্দু। গ থেকে কল্পিত ব্যাস পৃথিবীর কেন্দ্র ম বিন্দুর মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ গোলার্ধে ভূ-পৃষ্ঠকে ঘ বিন্দুতে স্পর্শ করেছে। সুতরাং ঘ বিন্দুই গ বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান। অনুরূপভাবে গ বিন্দু ঘ বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান। অতএব, প্রতিপাদ স্থান দুটির অক্ষাংশের মান সমান। কিন্তু একটি অপরটির বিপরীত গোলার্ধে অবস্থিত।
কোনো স্থানের প্রতিপাদ স্থান, ওই স্থান যে দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত তার বিপরীত মধ্যরেখায় অবস্থিত হয়। প্রতিপাদ স্থানে দুই মধ্যরেখার দ্রাঘিমার পার্থক্য ১৮০° অর্থাৎ দুটি স্থানের দ্রাঘিমার যোগফল ১৮০° হবে। সুতরাং কোনো বিশেষ দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত স্থানের প্রতিপাদ স্থান সেই সেই স্থানের বিপরীত দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত হয়। কলকাতার দ্রাঘিমা ৮২\tfrac{১}{২}^{\circ} পূর্ব। সুতরাং কলকাতার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা হবে ১৮০° – ৮৮\tfrac{১}{২}^{\circ} পূর্ব অর্থাৎ ৯১\tfrac{১}{২}^{\circ} পশ্চিম। কোনো স্থান ও তার প্রতিপাদ ঘন্টা। স্থান দুটির মধ্যে দিনরাত্রি ও ঋতুচক্রের পরস্পর বিপরীত অবস্থা দেখা যায়। অর্থাৎ কোনও স্থানে দিন হলে তার প্রতিপাদ স্থানে রত্রি হবে। আবার কোনো স্থানে গ্রীষ্মকাল হলে তার প্রতিপাদ স্থানে শীতকাল হবে।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .