প্রতিপাদ স্থান
ভূ-পৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত কোনো স্থান বা বিন্দু থেকে পৃথিবীর কোনো কল্পিত ব্যাস ভূকেন্দ্র ভেদ করে বিপরীত দিকে ভূপৃষ্ঠকে যে স্থানে স্পর্শ করে, সেই স্থানকে প্রথম স্থানটির প্রতিপাদ স্থান বলে (পাশের ছবিতে p স্থানের প্রতিপাদ স্থান হল pi)।
(১) কোনো স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশের মান সমান, কিন্তু একটি অপরটির বিপরীত গোলার্ধে অবস্থিত। কলকাতার অক্ষাংশ ২২°৩৪′ উত্তর, সুতরাং এর প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশ হবে ২২°৩৪′ দক্ষিণ৷
(২) কোনো বিশেষ দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত স্থানের প্রতিপাদ স্থান সেই স্থানের বিপরীত দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত হয়, ফলে তাদের মধ্যে দ্রাঘিমার পার্থক্য হয় ১৮০°। কারণ : কোনো স্থানের প্রতিপাদ স্থানটি তার ঠিক বিপরীত দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত হয় এবং দুটি দ্রাঘিমা রেখার ব্যবধান হয় ১৮০°। কলকাতার দ্রাঘিমা ৮৮°৩০′ পূর্ব। সুতরাং কলকাতার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা হবে ১৮০° – ৮৮°৩০′ পূর্ব অর্থাৎ ৯১°৩০′ পশ্চিম।
(৩) কোনো স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের সময়ের পার্থক্য হয় ১২ ঘন্টা।
(8) কোনো স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে দিনরাত্রি ও ঋতুচক্রের মধ্যে পরস্পর বিপরীত অবস্থা দেখা যায়, অর্থাৎ : (ক) কোনো স্থানে দিন হলে তার প্রতিপাদ স্থানে রাত্রি হবে। আবার (খ) কোনো স্থানে গ্রীষ্মকাল হলে তার প্রতিপাদ স্থানে শীতকাল হবে।
Read More
- টীকা লেখো : আন্তর্জাতিক তারিখরেখা
- টীকা লেখো : স্থানীয় সময়।
- টীকা লেখো : ভারতীয় প্রমাণ সময়
- টীকা লেখো : প্রমাণ সময়।
- টীকা লেখো : am ও pm
- টীকা লেখো : দ্রাঘিমা।
- টীকা লেখো : অক্ষাংশ।
- টীকা লেখো : নিরক্ষরেখা এবং মূল মধ্যরেখা।
- টীকা লেখো : মহাবৃত্ত।
- টীকা লেখো : গ্রিনিচের সময়।
- টীকা লেখো : সমাক্ষরেখা ও দেশান্তর বা দ্রাঘিমারেখা।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .