পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য
(১) একমাত্র শিলিগুড়ি মহকুমা বাদে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার বাকি অংশ হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলের অন্তর্গত।
(২) দার্জিলিং জেলার পার্বত্য অংশে পশ্চিমবঙ্গের সমতলভূমির তুলনায় তাপমাত্রা অনেক কম।
(৩) গ্রীষ্ণকালের অসহ্য গরমে বাকি পশ্চিমবঙ্গ যখন হাঁসফাস করছে, তখন এই অঞ্চলের আবহাওয়া খুবই মনোরম থাকে। দার্জিলিং-এর পার্বত্য অঞ্চলের গ্রীষ্মকালীন গড় উষ্ণতা হল ১৫° সেলসিয়াস। পার্শ্ববর্তী জলপাইগুড়ির সমতল অংশে তাপমাত্রা প্রায় ২০° সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে।
(৪) পার্বত্য জলবায়ুর প্রভাবে শীতকালে এখানে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়ে। শীতকালে দার্জিলিং অঞ্চলের তাপমাত্রা মাত্র ২° সেলসিয়াস বা তারও নীচে নেমে যায়। এই অঞ্চলের শীতকালীন গড় উষ্ণতা ২° সেলসিয়াস হলেও, অনেক সময় সর্বনিম্ন উষ্ণতা হিমাঙ্কের নীচে চলে যায়।
(৫) শীতকালে দার্জিলিং শহরে মাঝে মাঝে তুষারপাত হয়।
(৬) বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সুউচ্চ হিমালয় পর্বতের গায়ে ধাক্কা খেয়ে দার্জিলিং-এর পার্বত্য অঞ্চলে তুমুল শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায়। এই জন্য পশ্চিমবঙ্গের অন্যসব অঞ্চলের তুলনায় এই অঞ্চলের গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক বেশি (বার্ষিক ৪০০ সেন্টিমিটার)।
(৭) বর্ষার পর শরৎ এলে দার্জিলিং এর আবহাওয়া আবার মনোরম হয়ে ওঠে।
(৮) মনোরম আবহাওয়া ও জলবায়ুর জন্য গ্রীষ্ম ও শরৎকালে সারা পৃথিবী থেকে বহু পর্যটক এই অঞ্চলে বেড়াতে আসেন। তাই এখারকার দার্জিলিং, সান্দাকুফু, কালিম্পং, লাভা, মিরিক প্রভৃতি স্থানে বহু পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .