পর্যটন শিল্প
অবকাশ যাপন , বিনোদন , ব্যাবসা বাণিজ্য , শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে মানুষ যখন অল্প সময়ের জন্য এক স্থান থেকে অন্যস্থানে ভ্রমণ করে এবং মানসিক আনন্দ লাভ করে , তাকেই পর্যটন বলে। এই পর্যটনের কারণে যখন কোনো স্থানে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন , হোটেল , রিসর্ট নির্মাণ বা প্রকৃতিকে উপভোগ করার জন্য নানা পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটানো হয় , তখন তা পর্যটন শিল্প হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
পর্যটনের সাথে পর্যটকের যেমন উপকার হয় তেমনি সুষ্ঠু পর্যটন শিল্পের সাথে যুক্ত বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন শিল্পে ভারতে প্রথম দশটি রাজ্যের মধ্যে অন্যতম।
পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠার কারণ
পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠার কারণ কারণগুলি হল 一
প্রাকৃতিক পরিবেশের বৈচিত্র্য
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে সুউচ্চ হিমালয় , দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের সুনীল জলরাশি , পশ্চিমের মালভূমির অসাধারণ প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য এ রাজ্যে পর্যটন শিল্পের উন্নতির প্রধান কারণ।
ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
এ রাজ্যে মুরশিদাবাদ , কলকাতা ও অন্যত্র নানা ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান রয়েছে। পর্যটকদের কাছে এটি এক অনবদ্য আকর্ষণ।
পরিবহণের সুবিধা
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পর্যটন স্থানগুলির সাথে রেল , সড়ক , জলপথ এবং আকাশপথ সংযুক্ত করা হয়েছে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাস , হেলিকপ্টার পরিসেবা , বিলাসবহুল নৌকা , লঞ্চের মাধ্যমে পর্যটকদের ঘোরানোর ব্যবস্থা হয়েছে।
হোটেল , রিসর্টের উন্নয়ন
ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে নতুন নতুন হোটেল , রিসর্ট তৈরি হচ্ছে। উত্তরের তরাই , ডুয়ার্স , সুন্দরবনের গভীরে ইকো রিসর্ট , ট্রি হাউস পর্যটকদের আকর্ষণ করছে।
টুরিস্ট গাইড
টুরিস্ট গাইডরা পরিবেশ সংরক্ষণ , ঐতিহাসিক স্থানগুলির গুরুত্ব , তাদের সৃষ্টির কারণ এবং তাদের সংরক্ষণ বিষয়ে পর্যটকদের সচেতন করে। গাইডের এই ব্যবস্থা পর্যটন শিল্পের উন্নতির সহায়ক।
স্থানীয় উৎসব
কলকাতায় শারদীয়া উৎসব , শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা , কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো , শান্তিপুর ও কোচবিহারের রাসমেলা , কলকাতার বর্ষশেষ ও বর্ষবরণ উৎসব , কেঁদুলির জয়দেব মেলার মতো অসংখ্য উৎসর পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পের উন্নতির কারণ।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .