পরীক্ষামূলক বিবাহ ব্যবস্থা
পরীক্ষামূলক বিবাহ ব্যবস্থায় একজন স্ত্রী ও একজন পুরুষ আইনসম্মত ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হয়ে পরস্পরের সাথে স্বামী স্ত্রীর মত ব্যবহার করে ও বেশ কিছুদিন ইন্দ্রিয়সুখ ভোগ করে। এই সময়ে যাতে তাদের সন্তানাদি উৎপন্ন না হয় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেন। ঘনিষ্ঠভাবে বেশ কিছুকাল মেলামেশা করার পর যদি তারা পরস্পরকে উপযুক্ত মনে করে তাহলে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
এই জাতীয় বিবাহ ব্যবস্থার স্বপক্ষে অনেকে বলেন যে দুজন পুরুষ ও মহিলা পরস্পরের উপযুক্ত হবে কি না তা না জেনে বিবাহ করা প্রায় আত্মহত্যার সামিল হবে। Look before you leap—এই নীতি অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার পূর্বে পরস্পর পরস্পরকে জেনে নেওয়া ভাল। এরকম করলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা কমে যাবে। বিবাহের পূর্বে এই প্রস্তুতি নেওয়া বিশেষ প্রয়োজন।
কিন্তু এই পদ্ধতিতে অনেক দোষ ত্রুটি আছে, এতে ভালর চেয়ে মন্দের মাত্রা বেশী। এই ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই পাশ্চাত্য জগতে বেশ চালু হয়ে গেছে এবং আমাদের দেশেও শুরু হচ্ছে উচ্চ আয় বিশিষ্ট স্ত্রী-পুরুষের মধ্যে। এই ব্যবস্থা স্বীকার করার অর্থ যৌন উচ্ছৃঙ্খলতাকে স্বীকৃতি দেওয়া। যেহেতু এখানে স্ত্রী-পুরুষের মধ্যে বিবাহ বন্ধন স্থাপিত হয় নি সুতরাং যে কোন মুহূর্তে এই সম্বন্ধের অবসান ঘটানো যাবে। পরিবারের ও সমাজের স্থায়িত্ব নষ্ট হবে। অনেকেই আর পরিবারে পুত্র সন্তান প্রতিপালনের দায়িত্ব নিতে চাইবে না, শুধু ইন্দ্রিয় সুখ নিয়েই ব্যস্ত থাকবে।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .