নারী আন্দোলনের ত্রুটি
ভারতে নারী আন্দোলনের মুল লক্ষ্য করা গেলেও এর কতকগুলি টি লক্ষ্য করা যায়। যেমন–
- অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীবাদী আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে উচ্চারিত সম্পন্ন শিক্ষিতা মহিলারা। তাঁরা দরিদ্র মহিলারা বিষয়ে সাহায্য চাইলে সাহায্য করেন কিন্তু নিরন্তর যোগাযোগের মধ্যে দিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি।
- অনেক সময় নারীবাদী সংঘ সংগঠনের আলোচনা, বিতর্ক পরামর্শ সক্রিয় কার্যকলাপে পরিণত হয় না।
- ঐ সব সংঘের কাজ দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মহিলাদের মধ্যে সীমিত। কিন্তু বহু সময় মধ্যবিত্ত মহিলাদেরও ও সাহায্যে প্রয়োজন হয়। তাই নারীবাদী নাদের কাজকর্ম প্রসারিত করা প্রয়োজন।
- রাজনৈতিক দলের মহিলা সংগঠনগুলো বালের নির্দেশে পরিচালিত হয়। তার ফলে অনেক সময় স্বাধীন কার্যধারা অনুসরণ করেন।
- নারী আন্দোলনে বিভেদ ও অনৈক্যের জন্য অনেক ক্ষেত্রে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
- মহিলারা অনেকক্ষেত্রে নিজের বিষয়ে পৃথক করে ভাবে না। পরিবার ও গোষ্ঠীর অংশ রূপে ভাবে। তার ফলে নারী আন্দোলন প্রসারিত হয় নি।
- সরকার মুখে নারী ক্ষমতায়ন সমর্থন করলেও কাজে ততটা পদক্ষেপ গ্রহণ করেনা। সমাজ এখনও পুরুষের প্রবল প্রতাপে শাসিতা।
- পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে, গ্রামে মরুঃস্থলে শহরে নারী আন্দোলন প্রসারিত হয়নি। মহিলারা আজও লাঞ্ছিত ও অবহেলিত।
- অনর্গঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত নারীরা শোষণের শিকার। তাদের অধিকার রক্ষার জন্য সংগঠন নেই, আন্দোলন হয় না।
পরিশেষে বলা যায় নারী আন্দোলনকে প্রসারিত করতে হবে। দেশের প্রাঙ্গণে, প্রান্তরে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে। নারী কল্যাণের হাত ধরেই আসবে সমাজের ও দেশের উন্নয়ন ও উদ্বোধন।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .