দ্রাঘিমা
মূলমধ্য রেখা থেকে পূর্বে বা পশ্চিমে ভূ-পৃষ্ঠের কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা বলে। এই কৌণিক মাপ ভূকেন্দ্রে নিরক্ষীয় তলের ওপর সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ, পৃথিবীর কোনো স্থানের দ্রাঘিমারেখা এবং মূলমধ্যরেখা থেকে নিরক্ষীয় তল বরাবর ভূকেন্দ্র পর্যন্ত যদি দুটো কাল্পনিক রেখা টানা হয়, তাহলে এই দুটি রেখা ভুকেন্দ্রে যে কোণ উৎপন্ন করবে সেই কোণই হল এই স্থানের দ্রাঘিমা।
মূলমধ্যরেখা (০°) থেকে পূর্বদিকে ১৮০° পর্যন্ত বিস্তৃত দ্রাঘিমাকে পূর্ব দ্রাঘিমা বলে। আর, মূলমধ্যরেখা থেকে পশ্চিম দিকে ১৮০° পর্যন্ত বিস্তৃত দ্রাঘিমাকে পশ্চিম দ্রাঘিমা বলে।
পৃথিবী গোলকাকৃতির হওয়ায় ১৮০° পূর্ব ও ১৮০° পশ্চিম দ্রাঘিমা রেখা একই রেখা। কোনো স্থানের দ্রাঘিমা কত, তা বের করতে হলে ঐ স্থানটি যে দ্রাঘিমা রেখার ওপর আছে সেই দ্রাঘিমা রেখা ও নিরক্ষরেখার ছেদ বিন্দু (Q) থেকে ভূকেন্দ্র () বিন্দু) পর্যন্ত একটি ব্যাসার্ধ টানতে হবে। আবার মূলমধ্য রেখা ও নিরক্ষরেখার ছেদ বিন্দু P থেকে ভূকেন্দ্র পর্যন্ত আরও একটি ব্যাসার্ধ ভূকেন্দ্রে নিরক্ষীয় তলের ওপর যে কোণ ∠POQ উৎপন্ন করবে সেই কোণই হবে মূলমধ্য রেখা থেকে ঐ স্থানের কোণিক দূরত্ব বা দ্রাঘিমা। ছবিতে এই কৌণিক মাপ হল ৮৮°৩০′ পূর্ব।
Read More
- টীকা লেখো : আন্তর্জাতিক তারিখরেখা
- টীকা লেখো : স্থানীয় সময়।
- টীকা লেখো : ভারতীয় প্রমাণ সময়
- টীকা লেখো : প্রমাণ সময়।
- টীকা লেখো : প্রতিপাদ স্থান।
- টীকা লেখো : am ও pm
- টীকা লেখো : অক্ষাংশ।
- টীকা লেখো : নিরক্ষরেখা এবং মূল মধ্যরেখা।
- টীকা লেখো : মহাবৃত্ত।
- টীকা লেখো : গ্রিনিচের সময়।
- টীকা লেখো : সমাক্ষরেখা ও দেশান্তর বা দ্রাঘিমারেখা।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .