আয়নোস্ফিয়ার
ভূ-পৃষ্ঠের ঊর্ধ্বে ৮০-৬৪০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত হালকা বায়ুস্তরকে আয়নোস্ফিয়ার বলে। প্রখর সূর্য কিরণের জন্য হালকা বায়ু দিয়ে গঠিত এই স্তরে বায়ুমণ্ডলের মোট ভরের মাত্র ০.৫% আছে। এই স্তরের বায়ু আয়নিত অবস্থায় রয়েছে। এই স্তরে তড়িৎযুক্ত কণা বা আয়নের উপস্থিতির জন্য এই স্তরকে আয়নোস্ফিয়ার বলা হয়। এখানে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, ওজোন প্রভৃতি গ্যাস আয়নিত অবস্থায় থাকে।
তড়িতাহত অণুর চৌম্বক বিক্ষেপের ফলে সুমেরু ও কুমেরু অঞ্চলে একরকম উজ্জ্বল আলোকবিচ্ছুরণ দেখা যায়, একে মেরুজ্যোতিবা মেরুপ্রভাবলে। সুমেরু অঞ্চলের মেরুপ্রভাকে সুমেরুপ্রভা বা অরোরা বোরিয়ালিস এবং কুমেরু অঞ্চলের মেরুপ্রভাকে কুমেরুপ্রভা বা অরোরা অস্ট্রালিস বলে। ভূপৃষ্ঠের বেতার তরঙ্গগুলো আয়নোস্ফিয়ার স্তর ভেদ করে আরও ওপরে যেতে পারে না বলে এই স্তর থেকে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে। তাই বিভিন্ন রেডিও স্টেশন থেকে প্রচারিত গান, বাজনা, নাটক, কবিতা, সংবাদ প্রভৃতি আমরা রেডিও মারফত বাড়ি বসে শুনতে পাই।
Read More
- টীকা লেখো : হেটেরোস্ফিয়ার।
- টীকা লেখো : হোমোস্ফিয়ার।
- টীকা লেখো : ট্রপোপজ।
- টীকা লেখো : স্ট্রাটোস্ফিয়ার।
- টীকা লেখো : ট্রোপোস্ফিয়ার।
- টীকা লেখো : বায়ুমণ্ডলের উপাদান।
- টীকা লেখো : বায়ুমণ্ডলের উপাদান।
Frequently Asked Questions
বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে সুমেরু প্রভার মতো আলো দেখা যায়?
আয়নোস্ফিয়ারে।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .