জৈনধর্মের বৈশিষ্ট্য
জৈনধর্ম একান্তভাবে নিরীশ্বরবাদী। এই ধর্মে ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয় না। আবার ঈশ্বরের প্রাসঙ্গিকতাও নেই।
- এইধর্মে বিশ্বসৃষ্টি ও রক্ষার পেছনে কোন দৈব অনুগ্রহ নেই।
- তাদের মতে বিশ্ব অনন্ত। উত্থান, পতন, উন্নতি, অবনতি এই চক্রাকার পর্যায়ের মধ্য দিয়ে আজকের পর্যায়টি এসেছে। প্রতিটি পর্বে ২৪ জন তীর্থঙ্কর ১২ জন রাজচক্রবর্তী ৬৩ জন মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
- জৈনধর্ম অনুসারে এই বিশ্বে এখন অবনতির পর্ব চলছে। এরা মহাপ্রলয়ে বিশ্বাস করে না।
- জীব ও অজীব এই দুইটি শব্দকে জৈনরা ধর্মবিশ্বাসের স্তম্ভরূপে বিবেচনা করে। তাদের মতে জীব ও অজীবের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এই বিশ্ব কাজ করে থাকে।
- জৈনদের কাছে জীব অতি পবিত্র। কর্মের বন্ধনই একে অপবিত্র করে।
- জৈনদের সাধনা একান্তভাবে ত্যাগ ও পবিত্রতার সাধনা।
- অহিংসা জৈনধর্মে অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাদের কাছে অজ্ঞানে সামান্যতম কাঁট হত্যাও একটা পাপ। বিশ্বজনীন অহিংসা ও পবিত্রা রক্ষা করাই জৈনধর্মের মূল কথা ছিল।
- এই ধর্মমতে তন্ত্র মন্ত্রকে বিশ্বাস করা হয়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .