চৌরিচৌরা ঘটনার গুরুত্ব
গান্ধিজির নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন যখন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে, তখন পাঞ্জাবের চৌরিচৌরা গ্রামে উন্মত্ত জনতা থানায় প্রবেশ করে ২২ জন পুলিশকে পুড়িয়ে মারে। গান্ধিজি এই হিংসাত্মক ঘটনায় মর্মাহত হয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।
গান্ধিজির এই সিদ্ধান্তকে সেদিন জাতীয় কংগ্রেসের অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। গান্ধিজি ইয়ং ইন্ডিয়া পত্রিকায় লিখলেন ভারতে অহিংস অসহযোগ আন্দোলন পরিচালনা করার মতো পরিবেশ ও পরিস্থিতি এখন আর নেই। কারণ তিনি মনে করতেন আন্দোলন স্থগিত না করলে সারাদেশ এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে অবতীর্ণ হত।
সুভাষচন্দ্র বসু একে ‘এক জাতীয় বিপর্যয়’ বলে আখ্যায়িত করলেন। সাধারণ মানুষও গান্ধিজির সিদ্ধান্তে হতাশ হলেন। মতিলাল নেহেরু মনে করেন চৌরিচৌরার ঘটনায় মুষ্টিমেয় জনতার তাৎক্ষণিক উত্তেজনার জন্য তিনি সমস্ত জাতিকে শাস্তি দিলেন। যাই হোক, এই ঘটনা গান্ধিজির জনপ্রিয়তাকে যে অনেকাংশে লঘু করে দিয়েছিল তা নিশ্চিত করে বলা যায়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .