চিপকো আন্দোলন
১৯৭০-এর দশকে মূলত ১৯৭৩ সালের এপ্রিল মাসে উত্তরাখণ্ডের গাড়ওয়াল জেলার মণ্ডল গ্রামে গাছ কাটার বিরুদ্ধে একটি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন গড়ে ওঠে। এটি চিপকো আন্দোলন (Chipko Mevement) নামে পরিচিত। চিপকো কথাটির অর্থ জড়িয়ে ধরা বা চেপে ধরা। ঠিকাদাররা গাছ কাটতে এলে গ্রামবাসী মহিলারা গাছ। জড়িয়ে ধরত। এর ফলে ঠিকাদাররা গাছ কাটতে পারত না।
হিমালয়ের পাহাড়ি এলাকা থেকে গাছ কেটে নেওয়ার ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরে চলে সছি। কিন্তু অত্যধিক গাছ কাটার ফলে পাহাড়ি লোকজনের মধ্যে অসন্তোষ জমতে থাকে। কারণ তারা তাদের প্রয়োজনীয় জ্বালানি গাছ কাটার ফলে পাচ্ছিল না। এ ছাড়া, ভূমিক্ষয় বাড়তে থাকার ফলে চাষের জমির ক্ষতি হচ্ছিল।
চিপকো আন্দোলনের সুফল হল যে, হিমালয়ে গাছ কাটা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে এবং বড়ো গাছ কাটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চিপকো আন্দোলনের ফলে ভারতের অন্যান্য পিছিয়ে পড়া এলাকার লোকজনও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠেছে গান্ধিবাদী নেতা শ্রী সুন্দরলাল বহুগুণা এবং শ্রী চণ্ডী প্রসাদ ভাট এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। শ্রী ভাট পরিবেশ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য দশেলি গ্রাম স্বরাজ মণ্ডল (Dasholi Gram Swarajya Sangh সংক্ষেপে DGSS) নামে একটি সমবায় সংস্থা ১৯৬৪ সালে গড়ে তুলছিল।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .