ঘূর্ণিঝড়ের ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি
ভারতবর্ষে ঘূর্ণিঝড়ে বহু মানুষ ও গবাদি পশুর জীবনহানি ঘটে ও প্রচুর সম্পত্রি ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া নিরক্ষীয় আবহাওয়া, ভূ-প্রকৃতিগত বিস্তর তারতম্য ও অত্যন্ত ঘন জনবসতিই এর জন্য দায়ী। ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলেও যদি আগাম কিছু সতর্কতা গ্রহণ করা যায় তবে এর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমানো যায়। এক্ষেত্রে করণীয় বিষয়গুলি হল:
(i) ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস প্রদান করে সমুদ্র উপকূলবর্তী মানুষদের আগাম সতর্ক বানী দিতে হবে।
(ii) আরও জোদারভাবে আবহাওয়া সংক্রান্ত সংবাদ আদন-প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
(iii) এমনভাবে উন্নয়নমূলক কার্যকলাপ করতে হবে যাতে সেগুলি ঘূর্ণিঝড়ে তেমনভবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে না পারে।
(vi) ঘূর্ণিঝড়ের পর বিভিন্ন ত্রাণকার্য যথাযথভাবে মনিটরিং করতে হবে এবং ঘূর্ণিঝড়ের সম্পূর্ণ ডেটাবেস প্রস্তুত করে তা সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরগুলিকে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
এখন সহজেই উপগ্রহ দ্বারা প্রাপ্ত বিভিন্ন চিত্রাদি বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমুদ্র এলকায় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার ঘটনা, তার গতির পরিমাণ ও সেটি কোন্দিকে ধাবিত হচ্ছে তানির্ধারিত হচ্ছে। তাছাড়া আবহাওয়া সম্পর্কিত বিভিন্ন উপগ্রহের দ্বারা ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতির এলাকার ম্যাপ প্রস্তুত, ক্ষতির মাত্রা ও সেখানকার উদ্ধার কাজের রূপরেখা বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাবলি বিভিন দপ্তরে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ম্যানেজমেন্টে যে উপগ্রহগুলি মুখ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে সেগুলি হল
জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট
এটি প্রতিমূহূর্তে বিভিন্ন অঞ্চলে আবহাওয়ার পরিবর্তনের পাশাপাশি সমুদ্র অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় তৈরির ঘটনার দিকে দৃষ্টি রাখে।
পোলার অরবিটিং স্যাটেলাইট
এটি ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ও ত্রাণকার্যের ধারাবাহিক তথ্যাবলি সঠিকভাবে নথিভুক্ত করে রাখে। Very Small Aparture Terminals (VSAT) Ultra Small Aparture Terminals (USAT)
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .