গুরুমণ্ডল
শিলামণ্ডলের নীচে অর্থাৎ ৩৫ কিমি গভীরতা থেকে প্রায় ২,৯০০ কিমি গভীর পর্যন্ত গুরুমণ্ডল বা ম্যান্টল বা ব্যারিস্ফিয়ারের (Mantle/Barysphere) ব্যাপ্তি। লােহা, কার্বন, সিলিকন, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি পদার্থগুলি এখানে ভূ-অভ্যন্তরের প্রচণ্ড চাপ ও তাপের ফলে তরল অবস্থায় রয়েছে।
গুরুমণ্ডলের ওপরের প্রথম ৬৬০ কিমি অঞ্চলকে বহিঃগুরুমণ্ডল (ঊর্ধ্ব গুরুমণ্ডল) বা আপার ম্যান্টল (Upper Mantle) বলে। তার নীচে অর্থাৎ ৬৬০ কিমি থেকে ২,৯০০ কিমি পর্যন্ত অংশ অন্তঃগুরুমণ্ডল (নিম্ন গুরুমণ্ডল) বা লােয়ার ম্যান্টল (Lower Mantle) নামে পরিচিত। ঊর্ধ্ব গুরুমণ্ডল ও নিম্ন গুরুমণ্ডলের মধ্যবর্তী সীমানা হল ৬৬০ কিমি বিযুক্তি (660 km discontinuity)।
ঊর্ধ্ব গুরুমণ্ডলের সর্বোচ্চ অংশে প্রায় ২৫০ কিমি বেধযুক্ত একটি নমনীয় পাতলা স্তর আছে। এর নাম অ্যাসথেনােস্ফিয়ার (Asthenosphere)। এখানে ভূকম্পীয় তরঙ্গের গতিবেগ কমে যায় বলে এই অঞ্চলটিকে ভূকম্পের কম গতিবেগ অঞ্চল (Low Velocity Zone) বলা হয়। অগ্ন্যুৎপাতের সময়ে বহির্মুখী ম্যাগমার জোগান এখান থেকে আসে। পৃথিবীর মােট আয়তনের (volume) ৮৩% শতাংশ ও ভরের (mass) ৬৭% শতাংশ গুরুমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত। গুরুমণ্ডলের নিম্নসীমা গুটেনবার্গ বিযুক্তি (Gutenberg discontinuity) দিয়ে চিহ্নিত।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .