ক্ষুব্ধমণ্ডল বা ট্রোপােস্ফিয়ার
ট্রোপােস্ফিয়ার নামের এই বলয়টি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে গড়ে ১৪ কিমি উচ্চতার মধ্যে অবস্থিত। এটি বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর। আকৃতিগতভাবে ক্ষুব্ধমণ্ডল উপবৃত্তাকার। মেরু অঞ্চলে এই উপস্তরটি ৮ কিমি এবং নিরক্ষীয় অঞ্চলে ১৬ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত। ক্ষুব্ধমণ্ডল নামটির মধ্যেই বায়ুস্তরের এই বিশেষ বলয়টির বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে। এখানে মেঘ, বৃষ্টি, ঝড়, ঘূর্ণবাত (cyclone), প্রতীপঘূর্ণবাত (anticyclone) প্রভৃতি দেখা যায়। গ্রিক শব্দ ট্রোপাে (Tropo) কথাটির অর্থ মিশ্রণ বা বিক্ষোভ। এই উপস্তরে উচ্চতা ও উষ্ণতার সম্পর্ক বিপরীত, অর্থাৎ, এখানে প্রতি কিমি উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ৬৪° সে. তাপমাত্রা হ্রাস পায়। কিংবা বলা যেতে পারে, প্রতি হাজার ফুট উচ্চতায় ৩-৬° ফা. উষ্ণতা কমতে থাকে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে তাপমাত্রা হাসের এই অনুপাতকে “ল্যাপস রেট (normal lapse rate) বলে।
ট্রোপােস্ফিয়ার এর গুরুত্ব
বায়ুমণ্ডলের অন্যান্য স্তরের তুলনায় ট্রোপােস্ফিয়ারের প্রভাব প্রাণী ও মানব জীবনের ওপর অপরিসীম। ক্ষুব্ধমণ্ডল শ্বাস-প্রশ্বাসের সহায়ক গ্যাস সরবরাহ করে। জলচক্রের মাধ্যমে বৃষ্টি দেয়। তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে। বাতশক্তির মাধ্যমে পুনভর্ব শক্তি সম্পদের সন্ধান দেয়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .