ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা, শক্তির অপচয় এবং প্রাত্যহিক জীবনে শক্তির সংরক্ষণ
ক্রমবিকাশ শক্তির চাহিদা
(1) পরিবহন ক্ষেত্রে খনিজ তেলের ব্যাপক ব্যবহার অর্থাৎ রেল, মোটর, ট্রাক, বাস, বিমান ইত্যাদির প্রধান জ্বালানি হল খনিজ তেল।
(2) সামরিক ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ট্যাংক, কামান, বিমান ইত্যাদির জন্য পেট্রোল, ডিজেল, অ্যাভিয়েশন তেল প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার বাড়ছে।
(3) কৃষিক্ষেত্রে ব্যহহৃত ট্র্যাক্টর, পাওয়ার টিলার, পাম্প, জেনারেটর চালানোর জন্য ডিজেল, পেট্রোল, কেরোসিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
(4) কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য খনিজ তেলের উপজাত সামগ্রী নাইট্রোজেন সার এবং কীটনাশক ব্যবহার ক্রমাগত বাড়ছে।
শক্তির অপচয়
(1) কয়লা পুড়িয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যখন বিদ্যুৎ তৈরি হয় তখন প্রায় 40% কয়লার শক্তি বিদ্যুৎ-এ রূপান্তরিত হয়, বাকি 60% নষ্ট হয়।
(2) গাড়ি চালানোর সময় পেট্রোলের সঞ্চিত শক্তির 20% যান্ত্রিক শক্তিতে রুপান্তরিত হয়ে গাড়ি চলে, 80% শক্তি নষ্ট হয়।
(3) পরিবাহী তারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিবহণের সময় মোট উৎপাদিত বিদ্যুৎ-এর 20 শতাংশ নষ্ট হয়।
প্রাত্যহিক জীবনে শক্তির সংরক্ষণ
(1) শক্তি সংরক্ষণের জন্য সমাজের প্রতিটি মানুষকে সচেতন হতে হবে যাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শক্তি সম্পদ অর্থাৎ কয়লা, খনিজ তেল, বিদ্যুৎ ব্যবহৃত না হয়।
(2) বাড়িতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত আলো, পাখা ইত্যাদি বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ-এর সাশ্রয় করা প্রয়োজন।
(3) বাড়িতে বাল্ব, টিউবলাইটের বদলে CFL লাইট ব্যবহারে আলো বাড়ে, বিদ্যুৎ খরচ কমে।
(4) প্রেসার কুকারে রান্না করলে গ্যাস নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
(5) বাড়িতে সোলার ফোটোভোল্টাইক সেলের মাধ্যমে সূর্যরশ্মিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করে সোলার কুকার, সোলার ড্রায়ার, সৌর জল উত্তাপকের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
(6) বাড়িতে বিদ্যুৎ চালিত পুরোনো যন্ত্রপাতি যাতে বিদ্যুৎ বেশি খরচ হয়, পালটে নিতে হবে।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .