কিষান সভার গুরুত্ব
ভারতে ব্রিটিশ জমানায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও শোষিত হয়েছিল। কৃষক- সমাজ। শুধু ইংরেজই নয়, দেশীয় জমিদার ও মহাজনদের শোষণ, উৎপীড়নের হাত থেকে তারা রেহাই পায়নি। কৃষক সমাজের মধ্যে এভাবে যখন ক্ষোভ জমা হতে থাকে তখন কিযান সভার প্রয়োজন অনুভূত হয়। তাই ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে জাতীয় কংগ্রেসের বামপন্থী দল, সমাজতন্ত্রী দল ও কমিউনিস্ট দল লখনউতে কিষান সভার অধিবেশন শুরু করে।
এই অধিবেশনে উপস্থিত নেতারা হলেন জহরলাল নেহেরু, স্বামী সহজানন্দ, ইন্দুলাল যাজ্ঞিক, জয়প্রকাশ নারায়ণ, রামমনোহর লোহিয়া, এন. জি. রঙ্গ প্রমুখ। কিষান কংগ্রেস একটি ইস্তাহারের মাধ্যমে তাদের দাবিগুলি তুলে ধরে। যেমন, কৃষিঋণ মুকুব, খাজনা হ্রাস, জমিদার প্রথার উচ্ছেদ, বেগার প্রথার উচ্ছেদ ইত্যাদি। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে বিহারের গয়া জেলায় কিষান সভার দ্বিতীয় অধিবেশন আহূত হয় ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে ২৭-২৮ মার্চ বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে কিষাণ সভার প্রাদেশিক অধিবেশন বসে।
এই অধিবেশনের পর ‘বঙ্গীয় প্রাদেশিক কিষান সভা’ গঠিত হয়। কিষান সভা প্রতিষ্ঠার ফলে ভারতে কৃষক আন্দোলন মজবুত হয় এবং পরে এই সভা জাতীয় আন্দোলনের স্রোতে মিশে যায়।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .