কর্কট সংক্রান্তি
নিজের কক্ষতলের সঙ্গে 66\tfrac{1}{2}^{\circ} কোণ করে। পৃথিবীর মেরুরেখা নিজের কক্ষপথ ধরে অবিরাম সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। এভাবে পৃথিবীর সূর্য পরিক্রমার সময়, বছরের কয়েকটি বিশেষ দিনে মধ্যাহ্ন সূর্যরশ্মি পর্যায়ক্রমে পৃথিবীর নির্দিষ্ট কয়েকটি অক্ষরেখার ওপর লম্বভাবে পড়ে। সেই সময় ভূপৃষ্ঠের অন্যত্র সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পতিত হয়। ফলে একদিকে যেমন : দিনরাত্রির হ্রাসবৃদ্ধি হয়, অন্যদিকে তেমনি তাপমাত্রারও পরিবর্তন ঘটে।
২১শে জুন তারিখে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসে। ওইদিন সূর্যকিরণ কর্কটক্রান্তি রেখার ওপর লম্বভাবে পড়ে বলে, ২১শে জুন তারিখটিতে উত্তর গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড়ো এবং রাত সবচেয়ে ছোটো হয় (১৪ ঘণ্টা দিন আর ১০ ঘণ্টা রাত্রি) আর দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক এর বিপরীত অবস্থার সৃষ্টি হয় (১০ ঘণ্টা দিন, ১৪ ঘণ্টা রাত্রি)। ২১শে জুন সূর্য উত্তরায়ণের শেষ সীমা কর্কটক্রান্তি রেখায় পৌঁছোয় বলে ২১শে জুন দিনটিকে কর্কটসংক্রান্তি বা উত্তর অয়নান্ত বলে।
কর্কট সংক্রান্তির বৈশিষ্ট্য
( ১ ) পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ ২১ শে জুন তারিখে সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসে এবং সূর্যের দিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকে থাকে ।
( ২ ) ২১ শে জুন তারিখে সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় ।
( ৩ ) ছায়াবৃত্ত এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে ক্রমশ সরে যায় ।
কর্কট সংক্রান্তির ফলাফল
( ১ ) কর্কট সংক্রান্তিতে অর্থাৎ ২১ শে জুন তারিখে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় ও রাত্রি সবচেয়ে ছোট হয় । এবং দক্ষিণ গোলার্ধে এর ঠিক বিপরীত অবস্থা সৃষ্টি হয়।
( ২ ) এই সময় উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকাল বিরাজ করে ।
Frequently Asked Questions
পৃথিবীর কোন্ কাল্পনিক রেখার প্রত্যেক স্থানে সারা বছরই দিন ও রাত্রি সমান হয়?
ভূ-পৃষ্ঠের ঠিক মধ্যস্থানে অবস্থিত বলে নিরক্ষরেখার প্রত্যেক স্থানে সারা বছরই দিনরাত্রি সমান হয়।
নিরক্ষরেখার 23½° উত্তর সমাক্ষরেখাকে কর্কটক্রান্তি রেখা বলা হয় কেন?
নিরক্ষরেখার 23\tfrac{1}{2}^{\circ} উত্তর সমাক্ষরেখা সূর্যের আপাত গতির সর্ব উত্তর-সীমা বলে এর নামকরণ করা হয়েছে কর্কটক্রান্তি রেখা।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .